সাংবাদিক না সাংঘাতিক!
১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৭ এএম | আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৭ এএম
দেশে সৎ সাংবাদিকতা কার্যত হুমকির মুখে পড়ে গেছে। এ হুমকি রাষ্ট্রের কোনো কালাকানুন, গণমাধ্যম বিরোধী আইন এবং শাসকদের রক্তচক্ষুর জন্য নয়; হুমকির কারণ গণমাধ্যম জগতে সাংবাদিকদের আর্থিক বৈষম্য ও যাপিত জীবনের ফারাক এবং লোভাতুর সাংবাদিকতা বেড়ে যাওয়া। কিছু সুবিধাবাদী সাংবাদিক আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ; আর কিছু সাংবাদিকের নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা। অর্থনীতির এই ব্যবধান কিছু সাংবাদিকের মধ্যে ‘লোভ বিপ্লব’ ঘটাচ্ছে।
ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনামলে সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিতরণ, প্লট, ফ্লাট, বিভিন্ন লাভজনক পদ-পদবির সুযোগ সাংবাদিকদের দেয়া এবং বাণিজ্যিক চেতনা থেকে কর্পোরেট হাউজগুলোর গণমাধ্যম ব্যবসায় লগ্নির কারণে মূলত সাংবাদিকতা পেশায় অনৈতিকতার চাষাবাদ শুরু হয়। বিগত দিনে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর তথাকথিত সংবাদ সম্মেলনের নামে পত্রিকার সম্পাদক, সিনিয়র সাংবাদিক, সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা যে ভাবে শেখ হাসিনার জুতা-ফিতা-শাড়ি-ব্লাউজের তোয়াজ করেছে তা সাংবাদিকতার সঙ্গে যায় না। হাসিনা কার্যত এক শ্রেণির সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকে ‘গোলাম’ বানিয়ে রেখেছিলেন। গণমাধ্যমের বড় একটা অংশ হাসিনাকে খুশি করতে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর হাসিনার সেবাদাস সাংবাদিকদের বড় অংশের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। অন্যদিকে হাসিনার অলিগার্ক গণমাধ্যমের মালিকরা টিকে থাকার লক্ষ্যে এখন আওয়ামী বিরোধী জাতীয়তাবাদী রঙের হোমড়া চোমড়া সাংবাদিকদের কিনতে শুরু করেছেন।
হাসিনা রেজিমে বৈধ-অবৈধভাবে ব্যবসা-বাণিজ্যের ঢাল হিসেবে ব্যবহারের লক্ষ্যে কর্পোরেট হাউজগুলোর মালিকরা বহু গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠা করেন। তারা নানাপন্থায় রাষ্ট্রীয়ভাবে সুযোগ-সুবিধা নিয়ে সাংবাদিকদের জন্য গঠিত ওয়েজবোর্ডের চেয়েও অধিকদামে সাংবাদিক কেনাবেচা করে গণমাধ্যম টিকিয়ে রাখেন। এতে সাংবাদিকদের মর্যাদা বেড়েছে না কমেছে তা নিয়ে বিতর্ক আছে। চাটুকারিতা করে হাসিনা রেজিমে কোনো সাংবাদিক কোটি কোটি টাকা, গাড়ি, ফ্লাট, প্লটের মালিক হয়েছেন। তারা এখন বিপদে। সেটা দেখে এখন অন্যেরাও লোভ সংবরণ করতে না পেরে রাজনৈতিক বিশ্বাস-সততা বিসর্জন দিয়ে তারাও ছুটছেন; চাকরির নামে হাসিনার অলিগার্কদের কাছে বিক্রি হচ্ছেন। তাছাড়া সাংবাদিকরা এ সমাজে বাস করেন; অন্যগ্রহের মানুষ নয়। তাদেরও দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বমুখী বাজারে সীমিত আয়ে টিকে থাকা বড়ই কঠিন। ফলে সৎ সাংবাদিকতা কার্যত হুমকির মুখে পড়ে গেছে।
সাংবাদিকতা কার্যত সেবাধর্মী পেশা। বর্তমান যুগে এ পেশা সুবিধাবাদী সুচতুর সাংবাদিকদের জন্য ‘পৌষ মাস’ আর সৎ সাংবাদিকদের জন্য ‘সর্বনাশ’ হয়ে উঠেছে। কারণ গণমাধ্যমে চাকরি করে একই পদের সাংবাদিকদের আর্থিক অবস্থানের তারতম্য গোটা কমিউনিটিকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। কেউ দামি গাড়ি হাঁকেন কেউ বাসের গেইটে ঝোলেন। কেউ পাঁচ তারকা হোটেলে খান কেউ ফুটপাতের ছালাদিয়া হোটেলে খান। আমলা-পুলিশ প্রশাসনে ক্ষমতার অবৈধ ব্যবহারে ঘুষ খেয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হচ্ছেন, এ খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে। কিন্তু সাংবাদিকদের মধ্যে কিছু সাংবাদিক কোটি কোটি টাকার মালিক হচ্ছেন কিভাবে? বিগত ঈদুল আজহার সময় ছাগলকা-ে চাকরি হারানো এনবিআরের মতিউর রহমানের স্ত্রী নরসিংদী জেলার রায়পুর উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ বলেছিলেন, ‘বাদামী খাম দিয়ে সাংবাদিক কিনেছি’। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় হৈচৈ পড়ে গিয়েছিল। ঘুষখোর আমলা মতিউরের স্ত্রীর বক্তব্য যতই তিতা হোক না কেন বাস্তবতা কি বলে?
ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালানোর পর একাধিক পত্রিকার সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান ও তার পরিবারের সদস্যদের ১৬৩টি ব্যাংক হিসাবের সন্ধান পেয়েছে ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। বাংলাদেশ ব্যাংক হিসাবে নাঈমুল ইসলাম খানের ৩৮৬ কোটি টাকা ছিল; তুলে নিয়েছেন ৩৭৯ কোটি টাকা। টেলিভিশন উপস্থাপক ও সাংবাদিক মুন্নী সাহার ব্যাংক হিসাবে বেতনের বাইরে জমা হয়েছে ১৩৪ কোটি টাকা। হাসিনার পালানোর পর আমানতের ১২০ কোটি টাকাই উত্তোলন করেছেন। একাউন্টে এখন স্থিতি আছে ১৪ কোটি টাকা। এর বাইরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দুই দফায় ৩৩ জন সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন তাদের অবৈধ অর্থের সন্ধান করছে। আরো কয়েকজন সাংবাদিকের ব্যাংক হিসেব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অথচ বহু পেশাজীবী সাংবাদিক আর্থিক অভাবে নিয়মিত বাজার করতে পারেন না। টিকে থাকাই তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে।
দেশে বিজাতীয় সংস্কৃতির আমদানীকারক প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমান এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনামলে নির্যাতিত ৯০ বছর বয়সী এই সাংবাদিক বহুদিন দেশে ঢুকতে পারেননি। সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যাচেষ্টার কাল্পনিক অভিযোগ তুলে শেখ হাসিনার ক্যাঙ্গারু কোর্টে তাকে কারাদ- দেয়া হয়েছিল। রাজনৈতিক পালাবদলের পর তিনি দেশে ফিরে এসে জামিন নিয়েছেন। তাকে অনেকেই নীতিবান মানুষ মনে করতেন। সেই শফিক রেহমান গত সপ্তাহে একটি কর্পোরেট হাউজের মালিকানাধীন দৈনিক পত্রিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে উপস্থিত হয়ে ওই কর্পোরেট হাউজের মালিক ফ্যাসিস্ট হাসিনার অলিগার্কের মুখে কেক তুলে দিয়ে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন। ওই শিল্পপতি কয়েকটি গণমাধ্যমে মালিক এবং তার পুত্র ধর্ষক হিসেবে পরিচিত এবং খুনের মামলার আসামী। হাসিনাকে খুশি করতে ওই ব্যবসায়ী বিএনপি-জামায়াতের বিচার দাবি করে বলেছিলেন, ‘শেখ হাসিনা আপনার সঙ্গে আমি আজীবন থাকবো; পর জীবনেও আপনার সাথে থাকবো’। একজন মুসলমান পরের জীবনে অন্য মুসলমানের সঙ্গে কি থাকতে পারে? এমন চাটুকার ছিলেন ওই শিল্পপতি। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্ক চলছে শফিক রেহমান কী বিতর্কিত ওই শিল্পপতির কাছে বিক্রি হয়েছেন? কারণ, ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে দিল্লি চলে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের তাবেদার গণমাধ্যমগুলো টিকিয়ে রাখতে মালিকপক্ষ নতুন কৌশল নিয়েছে। সে কৌশল হচ্ছে আওয়ামী লীগের চিহ্নিত তাবেদার (হাসিনার গোলাম) সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুত করে বিএনপি ও জামায়াত অনুসারী সাংবাদিকদের মোটা অংকের টাকা বেতন দিয়ে নিয়োগ দেয়া। সামনের নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় এলে যাতে সুবিধা নেয়া যায়; তাছাড়া বর্তমানের প্রতিকূল পরিবেশে প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখা যায়। বলা যায়, বিএনপি ও জামায়াত অনুসারী সুবিধাবাদী কিছু সাংবাদিক মোটা অংকের টাকা মাসিক বেতন ও সুযোগ সুবিধার লোভ সংবরণ করতে না পেরে ওই সব হাসিনার দালালদের মালিকানাধীন গণমাধ্যমে যোগদান করছেন। তারা সাংবাদিকতার নীতি নৈতিকতা, রাজনৈতিক আদর্শ, চেতনাকে কার্পেটের নীচে চাপা দিয়ে হাসিনার অলিগার্কদের রক্ষার চেষ্টা করছেন।
বয়োবৃদ্ধ সাংবাদিক শফিক রেহমান হাসিনার অলিগার্কদের রক্ষায় সুবিধাবাদী সাংবাদিকদের দলে ভিড়ে গেছেন কি না সোশ্যাল মিডিয়ায় তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা। শফিক রেহমানকে জাতীয়তাবাদী ধারার তথাকথিত বিশ্বাসী হিসেবে ধরা হলেও তিনি কার্যত ইসলামী চিন্তা চেতনার ঘোর বিরোধী। তিনি দেশের শিল্প-সাহিত্য-আকিদাকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালবাসা দিবস আমদানি করেছেন। দেশের তরুণ প্রজন্ম সেই হুজুগে মেতেছে।
এই শফিক রেহমানকে এক সময় নীতিবান সাংবাদিক হিসেবে মনে করা হতো। স্বৈরশাসক এরশাদের শাসনামলে সংবিধান সংশোধন করে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসন সংখ্যা ১৫ থেকে বৃদ্ধি করে ৩০ আসন করা হয়েছিল। সে সময় তার সম্পাদিত সাপ্তাহিক যায় যায় দিন পত্রিকায় ‘সংসদের শোভা ত্রিশ সেট অলংকার’ শিরোনামে প্রতিবেদন ছাপিয়ে রাজনীতিতে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন। তার বাবা প্রফেসর সাইদুর রেহমান ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমানের সরাসরি শিক্ষক। পিতা মুজিবের শিক্ষক সে সুবিধা হাসিনার কাছে নেননি শফিক রেহমান। ফলে তার প্রতি দেশের কিছু মানুষের শ্রদ্ধাবোধ ছিলই। কিন্তু ফ্যাসিস্ট হাসিনার তাবেদার যিনি টাকা দিয়ে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করার অপচেষ্টা করছেন তার অনুষ্ঠানে হাসিনা হয়ে ভূয়সী প্রশংসা করেন। শফিক রেহমান বিতর্কিত ওই ব্যাক্তিকে অমায়িক ও অসাধারণ মানুষ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, ‘আমি ভারত বয়কটের পক্ষে নই; তবে ওই ব্যক্তি ভারতের সঙ্গে ব্যবসায় টেক্কা দিতে পারেন’। এ নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ডা. জাহেদ-উর রহমান ইউটিউব চ্যানেলে প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী কবির সুমনের গান ‘টাকাটাই শেষ কথা বাকি সব বাতুলতা’ তুলে ধরে বলেছেন, ‘শফিক রেহমানকে দীর্ঘ একটা সময় বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পক্ষের মানুষ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। পৃথিবীতে সবকিছুই চাইলেই টাকা দিয়ে কিনতে পারে না। সারা পৃথিবীতে বাস্তবে সে অবস্থা বিরাজ করে। কিন্তু বাংলাদেশে শফিক রেহমান ৯০ বছর বয়সে বিক্রি হয়ে যান। উনি উনার বিরাট অর্জন সারাজীবনে যেটা ছিল তার বড় অংশই হারিয়েছেন।’
এক সময় হলুদ সাংবাদিকতা শব্দটি বেশ উচ্চারিত হতো। আর্থিক লাভালাভের কারণে রিপোর্টিংয়ে অতিরঞ্জিত শিরোনাম, অযাচাইকৃত দাবি, পক্ষপাতমূলক এজেন্ডা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হতো। তাকে বলা হতো হলুদ সাংবাদিকতা। এখন হলুদ সাংবাদিকতা নয়, আদর্শ নীতি নৈতিকতা ভুলে টাকার কাছে সাংবাদিকরাই বিক্রী হয়ে যাচ্ছেন।
কবি মহাদেব সাহার কবিতা ‘যতোই চাও না কেন আমার কণ্ঠ তুমি থামাতে পারবে না, যতোই করবে রুদ্ধ ততোই দেখবে আমি ধ্বনি-প্রতিধ্বনিময়’। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে এমন সাংবাদিকের বড়ই প্রয়োজন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত
অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে
দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল
গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১
নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে
অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন
ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের
পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ
মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি
রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী
বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের
আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া
ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী
সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির
রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার
উন্মুক্ত মঞ্চে তরুণদের উচ্ছ্বাস